সিলেটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৪০৭ জন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলে।
সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ বছর ৮৬টি কেন্দ্রে ৩০৮টি কলেজের ৭৬ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী আজ প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যদিও মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৬ হাজার ৪৮৯ জন। অনুপস্থিত ছিল ৪০৭ জন। যা শতাংশের হিসেবে ০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে ৫টিসহ গঠন করা হয়েছে একাধিক ভিজিল্যান্স টিম। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নজরদারিও থাকবে।
বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের চেয়ে এবার ১৭ হাজার ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। গত বছর সিলেট বোর্ডের অধীনে ৩০৪টি কলেজের ৬৬ হাজার ৪৯১ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এবার কলেজ সংখ্যা চারটি বাড়লেও ৮৬টি কেন্দ্র বহাল রয়েছে। জেলাওয়ারি কলেজ সংখ্যা সিলেটে ১৫০, হবিগঞ্জে ৪৯, মৌলভীবাজারে ৪৯ এবং সুনামগঞ্জে ৬০টি। ৮৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৩টি, সুনামগঞ্জে ২১টি, মৌলভীবাজারে ১৪টি এবং হবিগঞ্জে ১৮টি কেন্দ্র রয়েছে।
এদিকে এইচএসসি, আলিম, ভোকেশনাল পরীক্ষা নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠু করতে সিলেট নগরের ২৯টি এলাকাকে অস্থায়ীভাবে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার। এসব এলাকায় সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট-পাথর ইত্যাদি বহন ও ব্যবহারসহ শান্তিশৃঙ্খলা এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ যেকোনো কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে পরীক্ষা চলাকালে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।