জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মানবতাবাদ এখন হুমকির মুখে। তবে মানবিক কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ বিশ্ব মানবিক সম্প্রদায়কে আরও শক্তিশালী করেছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ব মানবতা দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, এ বছর বিশ্ব মানবতা দিবসে বাগদাদের ক্যানেল হোটেলে ভয়াবহ হামলার ২০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। সেই দুর্ঘটনার দিনে আমরা জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি সার্গিও ভিয়েরা ডি মেলোসহ ২২ জন সহকর্মীকে হারিয়েছি। এই ট্র্যাজেডি মানবকল্যাণে যারা কাজ করেন তাদের কাজের পদ্ধতিতে একটি পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। কারণ মানবকল্যাণ কর্মীরা বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হয়ে থাকবার পরও কিছু মানুষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে যারা তাদের ক্ষতি করতে চায়।
এ বছর বৈশ্বিক মানবিক কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো ৬৯টি দেশের ২৫ কোটি মানুষকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, যা ওই হোটেলে বোমা হামলার সময়ের চেয়ে দশগুণ বেশি। দুঃখের বিষয় হলো, তহবিল প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম। সংকটের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানবকল্যাণ কর্মীরা অভাবী লাখ লাখ মানুষের সাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে, যা অগ্রহণযোগ্য।
গত ২০ বছরে অন্যান্য চ্যালেঞ্জও বহুগুণ বেড়েছে। যেমন, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা; আন্তর্জাতিক মানবিক এবং মানবাধিকার আইন উপেক্ষা; এবং উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা। মানবতাবাদ এখন হুমকির মুখে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলোই বিশ্ব মানবিক সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করেছে। মানবকল্যাণ কর্মী, যাদের বেশির ভাগই নিজের দেশে কর্মরত, তারা সেসব মানুষের সেবা করে যারা তাদের আরও কাছাকাছি থাকেন। তারা জীবন বাঁচানো ও রক্ষা করার লক্ষ্যে বিপর্যয়-কবলিত অঞ্চলের গভীরে এবং সংঘাতের অগ্রভাগের কাছাকাছি যাওয়ার নতুন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন।
এবারের বিশ্ব মানবিক দিবসে আমরা সর্বত্র মানবিক সহায়তা কর্মীদের সাহস ও নিবেদনকে অভিবাদন জানাই। আমরা বিশ্বজুড়ে তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও জীবন রক্ষাকারী প্রচেষ্টার জন্য আমাদের পূর্ণ সমর্থনকে পুনরায় নিশ্চিত করছি। আমরা সব অভাবী লোকদের সেবা করার জন্য তাদের অটল নিবেদনকে সাধুবাদ জানাই: তা সে যেই হোক না কেন, যেখানেই হোক না কেন; যাই হোক না কেন।