তার ছোঁয়াতেই ইন্টার মায়ামির এমন বদলে যাওয়া। টানা ১১ ম্যাচ জয়হীন থাকা একটা দলকে এসেই শিরোপা জেতালেন টানা ৭ জয়ে। শিরোপা জয়ের পথে সব ম্যাচের মত ফাইনালেও লিওনেল মেসি করলেন মনে রাখার মতো একটা গোল। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেই দেশটিকে মাতিয়েছেন ফুটবলের উন্মদনায়। মেসিকে বর্ণনা করার তাই আলাদা কোনো ভাষা নেই কোচ জেরার্দো মার্তিনোর। তলানীতে থাকা একটি দলকে এক মাসের ব্যবধানে শিরোপার মুকুট পরিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব মেসিকেই দিলেন তার দীর্ঘ দিনের ক্লাব সতীর্থ সের্হিও বুসকেতও।
লিগস কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে জিওডিস পার্কে স্বাগতিক ন্যাশভিলকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জেতে মায়ামি। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ ড্র হওয়ার পর ম্যারাথন টাইব্রেকারে ১০-৯ ব্যবধানে জিতে যান মেসি-আলবা-বুসকেতসরা। ৭ ম্যাচে ১০ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন মেসি।
এর আগেই জুটি বেঁধেছিলেন লিওনেল মেসি ও কোচ মার্তিনো। আর্জেন্টিনার হয়ে সেই জুটি টানা দুইবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল। এবারও সেই শঙ্কা মনের ভেতর জেগে উঠেছিল বলে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে জানান মার্তিনো। তবে শিরোপা জয়ের পর মেসিকে প্রশংসায় ভাসাতে ভোলেননি আর্জেন্টাইন এই কোচ।
“আপনি যখন লিওর (মেসি) নাম বলছেন, মানে আপনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়টির কথা বলছেন। এর চেয়ে বড় কোনো প্রশংসা হয় না। সে ম্যাচের পর ম্যাচে সেটা প্রমাণ করেছে।”
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষককে একা পেয়েও দলকে জেতানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন লিও কাম্পানা। সে সময় কোপা আমেরিকার সেই হারের দুঃস্মৃতি ফিরে এসেছিল মার্তিনোর।
“যখন কাম্পানা মিস করল এবং আমরা পেনাল্টিতে গেলাম, তখন আমার চিলির বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনাল দুটির কথা মনে পড়ছিল। সৌভাগ্যবশত এবার আমার আশঙ্কা ভুল ছিল।”
মেসির কারণেই বার্সেলোনা অধ্যায় শেষে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বুসকেতসের। মেসির পাশাপাশি ইন্টার মায়ামির ট্রফি জয়ে ভূমিকা আছে অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারেরও। আসল কৃতিত্ব অবশ্য দলের সবাইকে দিলেন এই স্প্যানিশ তারকা। আলাদাভাবে মেসির প্রশংসা করতেও ভুললেন না বুসকেতস।
“আমার মনে হয়, আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা দলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। এই শিরোপার কৃতিত্ব সবাইকে দিতে হবে। আমরা দারুণ একটি দল গঠন করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমাদের দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়টি আছেন, তিনি লিওনেল মেসি।”