• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

১৫ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে থাইল্যান্ডে ফিরলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩
ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে থাকসিন সিনাওয়াত্রা/ ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বেচ্ছা-নির্বাসন কাটিয়ে থাইল্যান্ডে ফিরলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা দিকে একটি প্রাইভেট প্লেনে করে দুবাই থেকে ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন থাকসিন। এ সময় তার শত শত সমর্থক উল্লাস করেন।

এছাড়া থাকসিনের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে তার অসংখ্য সমর্থক রাতারাতি ব্যাংককে চলে আসেন। কিন্তু থাকসিনকে তারা খুব বেশি সময় দেখতে পারেননি। দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে রাজা ও রানির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে খুব অল্প সময়ের জন্য বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে বের হন তিনি।

এমন এক সময়ে থাকসিন ফিরে এলেন যখন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভোটাভুটি হবে। এর আগে থাইল্যান্ডের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, থাকসিন লাল রঙয়ের টাই ও ডার্ক স্যুট পড়ে হেঁটে একটি ছোট প্লেনের দিকে যাচ্ছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সফল এ নেতাকে ভয় পায় দেশটির রক্ষণশীল রাজ পরিবারের সদস্যরা। থাকসিনকে দুর্বল করতে সামরিক অভ্যুত্থান ও একাধিক বিতর্কিত মামলা দায়ের করার পেছনে সমর্থন ছিল রাজ পরিবারের।

বলা হচ্ছে, থাকসিনের এ প্রত্যাবর্তন সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় ১০ বছরের সাজা জারি রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশে ফেরার পর থাকসিনকে এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সাবেক টেলিকমিউনিকেশন টাইকুন থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। বলা হয়, থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে ২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৪ বছর বয়সী এ বিলিয়নেয়ারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে থাকসিন ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দণ্ডিত হন ও কারাগারে যাওয়া এড়াতে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের নির্বাসিত জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৃহত্তম শহর দুবাইতে কাটিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ