বিশ্বের চোখ এখন ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে মঙ্গলবার এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা। সম্মেলন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা জানিয়েছেন, ব্রিকস কোনো বিরোধী শিবির নয়। তিনি বলেন, ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭, জি-২০ বা যুক্তরাষ্ট্র- কারও বিরোধী শিবির হতে চাই না আমরা। নিজেদের মধ্যে সংগঠিত হতে চাই। আমাদের লক্ষ্য- ‘গ্লোবাল সাউথ’এর উন্নয়ন। খবর-এনডিটিভি
এদিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি এই সম্মেলনে আসেননি। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সেখানে গেছেন। পুতিন ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন।
সম্মেলনের আগে রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, কোনো বৈশ্বিক শক্তির পাশে দাঁড়াতে তার দেশকে প্রভাবিত করা যাবে না। ব্রিকস সম্মেলনের সদস্য রাষ্ট্র ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের প্রভাবকে প্রসারিত করতে এবং বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে পরিবর্তনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রিকসভুক্ত অন্য দেশগুলো বৈঠকে চাপ দিতে পারে– এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে ব্রিকসভুক্ত পাঁচ দেশ ছাড়াও যুক্ত হয়েছেন আরও অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। এবারের সম্মেলনেই জোটটিতে নতুন সদস্য যুক্তের ঘোষণা আসতে পারে। ৪০টিরও বেশি দেশ এরই মধ্যে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে। এটিই এবারের ব্রিকস সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ।