কুড়িগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বর্তমানে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার আমন খেত তলিয়ে গেছে। দুশ্চিন্তার আছেন আমন চাষিরা।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম রাজার হাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও দিনমজুরেরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার শূন্য সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি ৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ২৬ ও ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা অনেক কম।