সিলেটে প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময়ের জনদুর্ভোগের অবসান হয়েছে এক যুবকের হাত ধরে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে দুইটি রাস্তার প্রায় ৪০০ ফুট আরসিসি ঢালাই করে দেন ওই যুবক।
এমন কাজ করে এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন নগরীর তরুণ ব্যবসায়ী রানা শেখ। মা শেখ রুপা বেগমের নির্দেশেই তিনি এই মহৎ কাজের উদ্যোগ নেন।
সিলেট সিটি নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের লন্ডনি রোডের ২নং রাস্তার প্রায় ৩০০ ফুট জরাজীর্ণ রাস্তা ও পাশের আরেকটি ১০০ ফুটের রাস্তার আরসিসি ঢালাই করে দেন ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িত রানা শেখ। এতে তার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকায় দুর্ভোগের মধ্যে ছিলেন এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও প্রত্যাশিত রাস্তার কাজ করাতে পারেননি এলাকাবাসী। রাস্তা পাকাকরণের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার ও পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার কাজও করাচ্ছেন। মায়ের নির্দেশে তিনি এই রাস্তার উন্নয়নে কাজ করিয়েছেন বলে এলাকাবাসী তার মা শেখ রুপা বেগমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
লন্ডনি রোডের অগ্রণী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জহিরুল ইসলাম মিশু বলেন, রানা শেখ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ভালো মনের মানুষ। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। এমনকি আমি নিজেও অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছি এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য। শেষমেশ রাস্তাটি রানা শেখের হাত ধরেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাকা হলো। এজন্য আমরা এলাকাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, আমরা রাস্তাটির জন্য দীর্ঘদিন যাবত চরম কষ্ট করেছি। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তা ব্যবহার করতে দুর্ভোগ পোহাতে হত। এখন এই রাস্তা পাকাকরণের ফলে আমাদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
এ ব্যাপারে রানা শেখ বলেন, রাস্তা চলাচলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দেখে আমার মা আমাকে রাস্তাটি পাকা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহর রহমতে আমি কাজটি সমাপ্ত করতে পেরেছি এজন্য ভালো লাগছে। এ কাজের জন্য এলাকার মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কারণ তারা এ ব্যাপারে আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। সেই সঙ্গে আমি অন্যদেরকেও আহবান জানাবো যাতে সবাই তার নিজের অবস্থান থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন।