দুজনের সম্মতিতে’ ‘চুমু’ হয়েছে বলে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেসের মন্তব্যকে সত্য নয় বলে দাবি কলেছেন ভুক্তভোগী জেনিফার এরমোসো। একই সঙ্গে দেশটির ৮১ জন খেলোয়াড় জানিয়েছেন, রুবিয়ালেসকে বিদায় করা না হলে স্পেনের হয়ে আর খেলবেন না তারা।
বিশ্বকাপ জয়ের পর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম মাঠে নামবে স্পেন দল। নেশন্স লিগে সুইডেনের বিপক্ষে খেলবে তারা। রুবিয়ালস সরে না দাঁড়ালে ম্যাচটি আদৌ আয়োজিত হবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে গত রবিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পদক পরিয়ে দেওয়ার সময় কাণ্ডটি করেন রুবিয়ালেস। পদক দেওয়ার সময় স্পেন দলের সব ফুটবলারকেই আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালেস। গালে ও কপালে চুমুও এঁকে দেন অনেকের। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে যান এরমোসোর ক্ষেত্রে। স্পেনের হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলা এই ফুটবলারকে বেশ খানিক সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে আচমকা ঠোঁটে চুমু দেন তিনি।
এরপরই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় রুবিয়ালেসকে নিয়ে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও স্পেন সরকার এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এর মাঝেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, শুক্রবার পদত্যাগ করতে পারেন রুবিয়ালেস। তবে এদিন আরএফইএফ-এর ডাকা জরুরি সভায় নিজের অবস্থান তুলে ধরেন রুবিয়ালেস। চুমুর ঘটনাটি পারস্পরিক সম্মতিতে হয়েছিল দাবি করে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি, ‘দুজনের সম্মতিতে ঘটা একটি ঘটনা কি আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দেবে? আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব।’
এর কয়েক ঘণ্টা পরই নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়ন একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে এরমোসো বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই যে, ওই চুমুতে কখনোই আমার সম্মতি ছিল না। আমি যা বলিনি, তেমন কিছু ছড়ানো হলে সহ্য করব না, তবে এর চেয়েও বেশি মানতে পারব না যদি আমার কোনো কথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।’
ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন জাতীয় দলের ২৩ জন ফুটবলারও। কদিন আগেই দেশকে যারা উপহার দিয়েছেন প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ।
বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, ‘নারী বিশ্বকাপে পদক দেওয়ার সময় যা কিছু হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে চাই যে, বর্তমান বোর্ড সভাপতি দায়িত্বে থাকলে এই চিঠিতে যারা সই করেছে তারা জাতীয় দলে ফিরবে না।’