মানুষের রক্তে থাকা মোম জাতীয় এক ধরনের উপাদানের নাম কোলেস্টেরল। কোনো কারণে রক্তে এই উপাদান স্বাভাবিকের মাত্রা ছাড়ালেই বিপদ। তখন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ একাধিক জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
তাই যেনতেন প্রকারে কোলেস্টেরলকে বশে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই কাজটা করতে পারলেই ছোট-বড় রোগব্যাধির ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। বিশেষ করে হার্ট থাকবে চাঙ্গা।
তবে মুখের কথাতেই তো আর কোলেস্টেরল কমবে না। বরং এই কাজটা করার জন্য ডায়েটে একাধিক বদল আনতে হবে। বিশেষ করে এমন কিছু ফলকে খাদ্যতালিকায় জায়গা করে দিতে হবে, যা খারাপ কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে সিদ্ধহস্ত।
তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছা থাকলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান সেই পাঁচ ফল। তাতেই প্রশস্ত হবে সুস্থ থাকার পথ।
প্রতিদিন একটা আপেল
হাই কোলেস্টেরলের মতো জটিল অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ইচ্ছা থাকলে প্রতিদিন একটা করে আপেল খান। কারণ এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সলিউবল ফাইবার, যা লিপিড নিয়ন্ত্রণের কাজে সিদ্ধহস্ত।
সেই সঙ্গে আপেলে রয়েছে পলিফেনলসের ভাণ্ডার। এই প্ল্যান্ট কম্পাউন্ডও কোলেস্টেরলকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই নীরোগ জীবন কাটাতে চাইলে আপেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কলা খেলেই দূরে থাকবে বিপদ
কোলেস্টেরলকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখার কাজে কলার কোনো বিকল্প নেই। আসলে এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সলিউবল ফাইবার, যা কিনা খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে একাই একশো।
শুধু তাই নয়, কলায় মজুত পটাশিয়াম ব্লাড প্রেশারকেও স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখে। প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যে কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য়। তাই হৃৎপিণ্ডকে চাঙ্গা রাখতে কলা খাওয়া চাই-ই চাই।
আঙুরের বিকল্প নেই
আঙুরের স্বাদের জাদুতে মশগুল ৮ থেকে ৮০। তাই তো বাজারে এই ফলের চাহিদা সবসময়ই ঊর্ধ্বমুখী। তবে শুধু স্বাদ নয়, গুণের বিচারেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। কারণ আঙুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়ার কাজ একা হাতেই সামলাতে পারে। তাই হাইপারলিপিডিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ডায়েটে আঙুর থাকা আবশ্যক।
বেরি জাতীয় ফল
খারাপ কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত কমানোর ইচ্ছা থাকলে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা ব্ল্যাকবেরির মতো বেরি জাতীয় ফল খান নিয়মিত। এই ধরনের ফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যৌথ প্রয়াসে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
সুতরাং নিয়মিত এসব ফল খেলে যে ভয়ংকর সব হার্টের অসুখকে দূরে রাখা সম্ভব হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই পকেটের অবস্থা যদি ভালো থাকে, তাহলে এসব বিদেশি ফল পাতে রাখার চেষ্টা করুন। এতেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
মহৌষধি আনারস
এই ফলে রয়েছে ব্রোমেলেইন নামক একটি উপাদান ,যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এই উপাদানটি রক্তপ্রবাহকে স্বাভাবিক রাখার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সুস্থ থাকতে আনারসকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।