দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমছে ৪০ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে এবং খুচরা বাজারে একটু খারাপ মানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা দরে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকার কারণেই কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কিছুটা কমলেও ক্রেতাদের মধ্যে কোনো স্বস্তি ফিরেনি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি তাদের।
হিলি বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, দেশে প্রায় সব জিনিস পত্রের দামই বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজার করতে আসলে মনের মতো তেমন কোন কিছুই কিনতে পারি না। ডিমের দাম বেশি, কাঁচা বাজারেরও আগুন লেগেছে সেই সঙ্গে মসলার বাজারও চড়া দাম। আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়ে গেছে। সংসার চালানোই কঠিন হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভাবে পদক্ষেপ না নিলে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর করে তুলবে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, দুই দিন থেকে পেঁয়াজ ৪৬ থেকে ৫০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই কম। অতিরিক্ত গরমের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুচরা বিক্রেতারা খুব বিপাকে পড়েছি। যার কারণে কম দামে লস করে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত থাকার কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। তবু ক্রেতা সংকট।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গত সপ্তাহের ৬ কর্ম দিবসে ভারতীয় ১৮০ ট্রাকে ৫ হাজার ৩১৪ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৩১ ট্রাকে ২৬২ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।