রাজশাহী মহানগরীর ১১টি স্থানে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করছে সিটি করপোরেশন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) পরিচালিত সিটি হাসপাতালসহ নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এ ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকার মোট ১১টি স্থানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১০টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অন্যটি হচ্ছে রাজশাহী সিটি হাসপাতালে। এসব জায়গায় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী আসছেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে। তবে সচেতনতার অভাবে অনেকেই বিষয়টি জানেন না। তারা ঘরে বসে থেকেই শারীরিক অবস্থা জটিল করছেন।
তিনি বলেন, কেবল ডেঙ্গু পরীক্ষাই নয়, যারা পজিটিভ হচ্ছেন তাদের প্রাথমিক যে চিকিৎসা প্রয়োজন সেটিও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শারীরিক সমস্যা বেশি হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে। আমরা সবাই এ বার্তা জানাচ্ছি যে, জ্বর আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করাতে হবে। ডেঙ্গু পরীক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না।
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। মাত্র ৬০ টাকায় যে কেউ ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারছেন। অথচ বাইরের যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, বর্তমানে রাজশাহীর ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। এক মাস আগে যেখানে গড়ে ১০০ জন রোগী ছিল। সেখানে এখন ৯০ জন রোগী রয়েছেন। যদিও হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ১০৩টি বেড রয়েছে। এবার রামেক হাসপাতালে কোনো রোগীকে চিকিৎসা নিতে এসে মেঝেতে থাকতে হয়নি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর এ মৌসুমে রামেক হাসপাতালটিতে ১ হাজার ৭৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯৮১ জন রোগী। এ রোগীগুলোর মধ্যে স্থানীয়ভাবে (রাজশাহীর) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৯ জন। এ রোগীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্তের আগে রাজধানী ঢাকায় যাননি। আর জ্বর এলে তিনিও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। বর্তমানে নামমাত্র টাকায় হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।