সরকারনির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। ১২ কেজির সিলিন্ডারের নির্ধারিত দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা হলেও তার চেয়ে সিলিন্ডার প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস।
এলপি গ্যাস সিলিন্ডারপ্রতি ১৪৪ টাকা বৃদ্ধি করে ১ হাজার ২৮৪ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা যায়, এই দামে কোথাও মিলছে না গ্যাস।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের যখন ঊর্ধ্বগতি সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্যাসের দাম। এ যেন সাধারণ মানুষের চিরে চাপটা দশা। তাই সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত সাধারণ মানুষের আয়ের দিক বিবেচনা করে দ্রব্যমূল্যও নির্ধারণ করা।
রাজশাহীর চেম্বার অব কমার্স ভবনের সামনে চায়ের দোকানি কাষি দাস বলেন, যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, আয়তো বাড়ছে না। আবারও গ্যাসের দাম বাড়লো। শুধু গ্যাসের দামই নয়, সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে দোকান চালাতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি।
বিটিসিএল অফিসের পাশে ভাজাপোড়া বিক্রি করেন উমা রানী। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম ক্রমেই বাড়ছে। এটি নিয়ে আমাদের শুধু দোকানই নয় সংসারেও প্রভাব পড়বে। কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ে যাচ্ছি আমরা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি থেকে বেশি দামে কেনার ফলে সরকারনির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজশাহী আনন্দ এন্টারপ্রাইজের মালিক আকাশ শাহ বলেন, আমরা পাইকারি ১২ কেজি গ্যাস বিক্রি করছি ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। এই গ্যাসটা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ১ হাজার ৪৩০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা কিনেছিই ১ হাজার ২৮০ টাকায়। তাহলে সরকারি দামে কিভাবে বিক্রি করবো?
রাজশাহী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, সরকারনির্ধারিত দামের বেশি নিলে লিখিত অভিযোগ করেন। দুই-একটি ব্যবসায়ীদের জরিমানা না করলে তারা ঠিক হবে না। একটি লিখিত অভিযোগ করেন।