• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

ব্যবহৃত হচ্ছিল হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ

নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে লাগা আগুন কেউ ধরিয়ে দিয়েছে, নাকি শর্ট সার্কিট বা কোনও সিগারেট থেকে সূত্রপাত হয়েছে— এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেনটেইন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মার্কেটের চার ভাগের তিন ভাগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই আগুনটি যেন মার্কেট থেকে ছড়িয়ে আশপাশের ভবনে যেন ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে নজরে রেখে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের বেশ সময় লেগে যায়।

তিনি বলেন, দ্রুত আমাদের পানি শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ওয়াসাসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা ছিল। অতিরিক্ত ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সেখানে ব্যবহার হয়ে আসছিল। অতিরিক্ত বিদ্যুতের কারণে তার লোড না নেওয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের সৃষ্টি হয়েছে, নাকি কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

আগুনের সূত্রপাত কোনও মুদির দোকান থেকে, নাকি কেউ লাগিয়ে দিয়েছে, না বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে, নাকি সিগারেট থেকে—­ এসব বিষয় তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।‌ তাজুল ইসলাম বলেন, কোন দোকান থেকে লেগেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা সম্ভব। তবে একপাশে বেকারির দোকান ছিল। সেখান থেকে আগুনে সূত্রপাত হতে পারে।

ফোন করার পর ফায়ার সার্ভিস রেসপন্স করেনি এমন অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে উৎসাহী জনতার ভিড় অনেকটাই কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। অনেকেই সহায়তা করতে চান, তবে এটা আমাদের কাছে সমস্যা মনে হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, এ মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা ছিল। আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা করার ছিল আমরা তাই করেছি। অন্যান্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বলতে পারবে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে। ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোওয়াট ধারণ ক্ষমতা থাকলেও অতিরিক্ত লোড দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। নির্ধারিত লোড থাকার পর যদি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তাহলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের একটা শঙ্কা থেকে যায়।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ