রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- সেলিম (৩৫), আবুল কালাম (২৯), হকসাব (৪৮), হযরত আলী ভূইয়া (৫২) ও বিল্লাল (২৫)।
শনিবার জেলার কেরানীগঞ্জ থানা এবং কুমিল্লার তিতাস ও চান্দিনা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি তালেবুর।
তিনি জানান, তাদেরকে কেরানীগঞ্জ থানা এবং কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় লুন্ঠিত লোহার তৈরি ৩৪৭৫ কেজি ওজনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ (যার মূল্য আনুমানিক ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা), বিভিন্ন বোল্টের ১০টি ব্যাটারি, দুটি পুরাতন গ্রাইন্ডিং মেশিন, একটি রুফিং মেশিন, একটি সিলিং ফ্যান, দুটি এডজাস্ট ফ্যান ও ৫০ ফুট ইন্টারনেট ক্যাবল উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী গত ১১ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৯ অক্টোবর রাত আট থেকে এগারোটার মধ্যে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের একটি দল রাজধানীর খিলগাঁওয়ে থাকার প্রতিষ্ঠান কনস্ট্রাকশন সল্যুশসের গোডাউনে প্রবেশ করেন। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কন্টেইনারের ভেতর আটকে রাখে। পরে গোডাউনে থাকা নগদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে। এরপর একটি ট্রাক নিয়ে এসে গোডাউনে থাকা আনুমানিক ২৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল, একটি টিভিএস মোটরসাইকেল, গোডাউনের কর্মচারিদের কাছে থাকা নগদ এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও কর্মচারীদের ১৫টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির এ ঘটনায় নগদ টাকাসহ যে সকল মালামাল লুট হয় তার আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
থানা সূত্র আরও জানায়, উদ্ধারকৃত ট্রাকের চালক সেলিমকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতিতে জড়িত আবুল কালাম ও মো. হকসাবকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কড়িকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হযরত আলী ভূইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। শেষে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মাধাইয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, এ ডাকাতির ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর রাতে খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল, মীর হোসেন ও আবুল হাসান নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে সময় লুণ্ঠিত একটি মোটরসাইকেল ও একটি কম্পিউটারের সিপিইউ উদ্ধার করা হয়েছিল। ডাকাতির এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের খিলগাঁও থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সেলিম আদালতে ১৬৪ ধারায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।