• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রার্থী অনশনে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অধিকার আদায়ে অনশন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও প্রার্থী জোবেদা আক্তার। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট করেন।

জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তার প্রেক্ষিতে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক পদে আবেদন করেন জোবেদা আক্তার। তবে বাকি সব প্রার্থীদের পরীক্ষা গত ২১ সেপ্টেম্বর নিলেও তাকে জানানো হয়নি। কেন শুধু তাকেই পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়নি বা জানানো হয়নি এ নিয়ে অভিযোগ তুলে অনশনে বসেন এই ভুক্তভোগী।

এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে আবেদনপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী। আবেদনপত্রে বলা হয়, আমি জোবেদা আক্তার ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্রী ছিলাম। আমি ২০১৭ সালে স্নাতক (সম্মান) এ জিপিএ ৩.৬২ (৪ স্কেলে) এবং ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর এ জি.পি.এ ৩.৫৫(৪ স্কেলে) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ সম্মান প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হয়েছি। গত ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষক ও অন্যান্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক (স্থায়ী) একটি(১) পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়। আমি উক্ত পদের জন্য একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করি। কিন্তু গত ৯/০৯/২০২৩ তারিখে উক্ত পদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তারিখ নির্ধারিত হয় যা পরে স্থগিত করা হয়। উক্ত পদের জন্য পুনরায় ২১/০৯/২০২৩ তারিখে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এবং উক্ত তারিখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়। আমি একজন যোগ্য প্রার্থী হলেও উক্ত তারিখে নির্ধারিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার অংশগ্রহণের জন্য কোন চিঠি বা মোবাইল ম্যাসেজ আমাকে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আমি জানতে পরি অন্যান্য প্রার্থীদের চিঠি ও মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়,এতে আমার নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং উক্ত বিষয়গুলো আমার কাছে পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো মনে হয়েছে। আমি আরও জানতে পারি (অসমর্থিত উৎস) থেকে এক(১)টি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি আরও (অসমর্থিত উৎস) থেকে জানতে পারি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার সকলে আমার থেকে কম যোগ্যতা সম্পন্ন। আমি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই সাথে দুইবার ক্ষতিগ্রস্ত হলাম: প্রথমত আমাকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া দ্বিতীয়ত একটি পদের বিপরীতে একাধিক নিয়োগ দেওয়ায় ভবিষ্যতের সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত করা হল। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া অবৈধ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জোবেদা বলেন, কাকে নিয়োগ দেয়া হবে সেটা আমার দেখার বিষয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ নিয়োগ পেতে পারে তবে আমার দাবি হচ্ছে আমি আবেদন করলেও আমাকে কেন পরীক্ষায় বসতে দেয়া হলো না, কেন আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও অধিকার বঞ্চিত হলাম।

ভুক্তভোগীর স্বামী রাশেদুল ইসলাম দেশ বলেন, সকল ধরণের ডকুমেন্ট প্রদান করে প্রাথমিক বাছাইয়ে নাম থাকার পরেও কেন তাকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হলো না এ নিয়েই অধিকার আদায়ে সে এখানে এসেছে।

এ নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, আবেদনের বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। এ নিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ