সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল (৫৫)।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তার মৃত্যু হয়।
ভূবনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাবি জয়শ্রী রাণী।
তিনি জানান, ঘটনার দিনই ভুবনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে আনা হয়। সেখান তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। গত শুক্রবার তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে গুলি বের করতে গেলে তখনই তার মৃত্যু হতে পারে এমন ঝুঁকি থাকায় তা বের করা হয়নি। সবশেষ আজ সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল সিটি পেট্রোল পাম্প এবং বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় গুলির ঘটনায় আহত হন সন্ত্রাসী মামুনসহ দুই পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল ও আরিফুল হক ইমন (৩০)।
ঘটনার পর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে মগবাজার এলাকার প্রেয়সী বার থেকে বেরিয়ে মামুন প্রাইভেটকারে করে তল্লাবাগের বাসায় ফিরছিলেন। শিল্পাঞ্চল থানাধীন সিটি পেট্রোল পাম্প এবং বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় পৌঁছালে ৪টি মোটরসাইকেলে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং পিঠে ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায় গুলি লাগে। এছাড়া আরিফুল হক ইমন সামান্য আহত হন। গুরুতর আহত ভুবনকে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে ওই মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখান থেকে স্বজনরা তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্বজনরা জানান, ভুবন চন্দ্র শীল একটি প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল অ্যাডভাইজর ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালির মাইজদী উপজেলায়। মতিঝিলের আরামবাগে একটি মেসে থাকতেন তিনি। তার স্ত্রী রত্না মজুমদার ও একমাত্র মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
জানা যায়, আহত মামুন দীর্ঘ ২৬ বছর পর গত ২-৩ মাস আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। তার বাবার নাম এসএম ইকবাল। বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শমসেরাবাদে।