• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন

গাজরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গাজর একটি শীতকালীন সবজি। তবে এখন প্রায় সারা বছরই এটি পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর কাঁচা ও রান্না উভয় উপায়েই খাওয়া যায়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন-এ, ৯ শতাংশ ভিটামিন-সি এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন-বি-৬ আছে। এছাড়াও গাজরের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা।

হার্ট ভালো রাখতে গাজর: গাজরে থাকা প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো হার্টের ধমনির ওপর কোনো আস্তরণ জমা হতে দেয় না। সেই সঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এর ভূমিকা রয়েছে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় গাজর: গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গাজর খেলে ফুসফুস, কোলন, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে।

দাঁত ভালো রাখে গাজর: গাজরের রস দাঁত মজবুত করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এটি মাড়ির সুস্থতা বজায় রাখে। মাড়ি ফোলা কিংবা দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধে গাজর বেশ উপকারী।

গাজর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: গাজরে থাকা উচ্চ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন লিভারে পৌঁছে ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। যা চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে গাজর: গাজরে ভিটামিন ‘এ’ ও বিটা ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। গাজরের ক্যারোটিনয়েড আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক সজীব থাকে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে গাজর: গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারী।

গাজরের জুসের উপকারিতা:

গাজরের জুসে সহজপাচ্য ফাইবার আছে, যা বেশ স্বাস্থ্যকর। গাজরের জুসে অ্যান্টি কারসেনোজনিক উপাদান আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

গাজরে জুসের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ