বন্ধুত্ব হল সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্কগুলির মধ্যে একটি। বন্ধুরা আমাদের কঠিন সময়ে সঙ্গী হয়, সাফল্যতে আনন্দ উদযাপন করে। বন্ধুদের সঙ্গে ভালোবাসার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ঝগড়াও যে হয় না তা নয়। কখনও কখনও ঝগড়া বা মনোমালিন্য মারাত্মক আকার ধারন করে। বড়সড় ঝগড়ার পর অনেক সময় বন্ধুত্ব ভেঙেও যায়। এ বিষয়ে থেরাপিস্ট ইসরা নাসির বলেছেন,ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে, নতুন করে যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুর বিশ্বাস পুনরায় অর্জন করা যায়। দুজনের মধ্যে বিদ্যমান দুরত্বও দূর করা যায়।
বড়সড় ঝগড়া বা মনোমালিন্যের পর বন্ধুত্ব ঠিক করার কয়েকটি উপায় জানিয়েছেন থেরাপিস্ট ইসরা নাসির। যেমন-
শান্ত থাকা: সাধারণত লড়াইয়ের পরে, মানুষ খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। তখন সঠিক কাজ নাও করতে পারে। এ কারণে শান্ত থাকা প্রয়োজন। তারপর বিষয়টি নিয়ে ভাববেন।
সমস্যার কারণ খুঁজে বের করুন : ঝগড়ার সময়ের প্রতিক্রিয়াগুলির উপর ফোকাস করার পরিবর্তে,পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করুন। সেই সঙ্গে অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করা করুন। তাহলে হয়তো সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
যোগাযোগ শুরু করুন: ঝগড়া শেষ হওয়ারও কিছু দিন পর,বন্ধুর সাথে যোগাযোগ শুরু করার চেষ্টা করতে পারেন। দুজনেই একটু ঠান্ডা হলে তারপর কথা বলার চেষ্টা করা উচিত।
সম্পর্ক তৈরির জন্য কথোপকথন চালান: বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে ব্যাপারে মনোযোগী হোন। ঝগড়ার পরিবর্তে সম্পর্ককে মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। তার সঙ্গে প্রয়োজনে বারবার কথা বলুন।
ক্ষমা চাও এবং ক্ষমা কর: যেকোন ভুলের দায়ভার নেওয়া উচিত। আপনি যদি ভুল করেন তাহলে বন্ধুর কাছে ক্ষমা চান। বন্ধু ভুল করলে তাকে ক্ষমা করতে শিখুন।
আবারও বিশ্বাস স্থাপন করুন: পরিস্থিতি যদি বিশ্বাস এবং আনুগত্য ভঙ্গের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে বিশ্বাস তৈরির জন্য চেষ্টা করুন। কীভাবে আবারও বন্ধুত্ব তৈরি করা যায় সে ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া উচিত।