তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে শিশুদের উপযুক্ত করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকেই জানে না তাদের চোখের সমস্যা আছে।
চোখের রোগের বিষয়ে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন করতে পারলে প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের অন্ধত্বসহ চোখের রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) রাজধানীর নূর মক্কা চক্ষু হাসপাতালে আল-বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য কার্যক্রম উপলক্ষে স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আল-বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আহমেদ তাহের হামিদ আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের সহকারী সুপারভাইজার জেনারেল ড. আকিল অন্যান্যের, আল-বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আদেল আল রুশহুদ, নূর মক্কা চক্ষু হাসপাতাল সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. একেএম মামুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, শিশুদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটির চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে শিশুদের উপযুক্ত করে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগণের সেবা করাই আমার মূল কাজ। কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়াম এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টার বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের চক্ষুসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের অবদান আমাদের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে নিরন্তর শক্তিশালী সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়াম এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারকে নাটোরের সিংড়াসহ বাংলাদেশে চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় আরও বেশি করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।