ব্যস্ততা আর কাজের চাপে নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পান না অনেকেই। সেখানে পোশাকের যত্ন নেওয়ার কথা ভাবলেও তা বাস্তবে পরিণত হয় কালেভদ্রে।
অনেকেরই ধারণা, পোশাকের যত্ন নেওয়া বোধ সময়সাপেক্ষ। তা কিন্তু একেবারেই নয়। জামাকাপড় ভাল রাখতে বাড়তি সময় দেওয়ার কোনও দরকার নেই। বরং কয়েকটি ছোটখাটো বিষয় মাথায় রাখলেই পুরোনো পোশাক থাকবে নতুনের মতো।
১. কম ধোয়া উচিত
জামাকাপড়ের রং ধরে রাখতে বেশি বার না ধোয়াই ভাল। খুব প্রয়োজন না হলে এক বার পরেই সেটি ধোয়া উচিত নয়। কাপড় কাচার সাবানে নানা রকম রাসায়নিক ক্ষার থাকে। জামাকাপড় পরিষ্কার করতে সেগুলি বার বার ব্যবহার না করাই শ্রেয়। বেশি বেশি সাবান দিয়ে ধুলেই পোশাক পরিষ্কার হবে, এমন নয়। এই ধরনের সাবান পোশাককে বিবর্ণ করে তুলতে পারে।
২. অল্প তাপে আয়রন করুন
জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময়ে খেয়াল রাখুন, যাতে ইস্ত্রির তাপমাত্রা খুব বেশি না হয়। বেশি তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করলে পোশাকের ফাইবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পোশাকের প্রতিটি সেলাইও পুড়ে যেতে পারে। পোশাকের বুনন ভাল রাখতে তাই ঘনঘন ইস্ত্রি না করাই ভাল।
৩. দাগ তুলুন দ্রুত
অনেক সময়ে অসবাধনতাবশত খেতে গিয়ে পোশাকে খাবার পড়ে দাগ হয়ে যায়। হলুদের দাগ কিন্তু সহজে যেতে চায় না। বেশি শুকিয়ে গেলে তো সে দাগ যেন খুব জেদি হয়ে যায়। তাই দাগ লেগে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে ফেলুন। খুব ভাল হয় যদি পোশাকটি সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলতে পারেন। দাগ তোলার ক্ষেত্রে ব্লটিং কাগজও কাজে আসতে পারে।
৪. কাপড় উল্টে ধুয়ে নিন
ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধুতে দেওয়ার আগে কাপড় উল্টে দিন। মেশিনের ঘূর্ণনে কাপড়ের বাইরের আবরণের সেলাই বা রং এর কিছু হবে না, বরং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে। এ ছাড়া ধোয়ার পর কাপড় শুকাতে দিলেও সেটা উল্টো করে শুকাতে দেয়া ভালো। কাপড়ের রং নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকবে না।
৫. বাইরের আলো-বাতাসে শুকাতে দিন
জামাকাপড়কে নতুন দেখাতে, ভেজা কাপড় বাতাসে শুকানো উচিত। বেশিরভাগ সময় ড্রায়ারে গরম বাতাসের ব্যবহার কাপড়কে সংকুচিত বা ক্ষতি করতে পারে। বাইরে আলো-বাতাসে কাপড় শুকালে তাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও থাকে না আবার ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের সুযোগ ও থাকে না। তবে কড়া রোদে কাপড় বেশিক্ষণ না শুকানোই ভালো, নয়তো কাপড়ের রং জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।