তবে শরীরের জন্য ইউরিক এসিডের যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি শরীরের ওপর এর বাজে প্রভাবও রয়েছে। তাই শরীরের ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। চলুন জেনে আসি সেই সব খাবারের নাম, যা খেলে ইউরিক এসিডের চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
সাধারণত টকজাতীয় খাবারে ভিটামিন সি বেশি মাত্রায় থাকে। কমলা লেবু, পাতি লেবু, গোল মরিচ ইত্যাদির মধ্যে পাওয়া যায়।
ফাইবার জাতীয় খাবার
শাক-সবজির মধ্যে ফাইবার ভরপুর। বিভিন্ন শাকপাতা, শসা, আপেল, ওটস, হোল গ্রেন ইত্যাদি খাবার ফাইবারের যোগান দেয়।
অলিভ অয়েল
শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রদাহরোধী ক্ষমতা। তাই ইউরিক এসিডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে সবজি, সালাদ ও পাস্তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রিন টি
গ্রিনটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশপাশি এই কাজটিও করে। গ্রিন টি-তে ক্যাচিন উপস্থিত যা আসলে প্রোটিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
বাদাম
বিশেষ ধরনের, মানে ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদাম, আমন্ড, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ও আখরোটে সাধারণত পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
আপেলের রস
আপেলের রস বা আপেল থেকে তৈরি ভিনিগার দুই থেকে তিন চামচ জলে গুলিয়ে খেলে, ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে কার্যকরী ফলাফল দেখা যায়।
সবজির রস
গাজর, বিট, শসার রস ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করেন।
লেবুর শরবত
ইউরিক এসিড প্রতিরোধে সাইট্রিক এসিড (কমলালেবু বা লেবুতে থাকা একধরনের বিশেষ এসিড) সেরা একটি হাতিয়ার। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং সাইট্রিক এসিড। ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে একটি লেবুর রস এক গ্লাস গরম পানিতে দিয়ে প্রতিদিন দুবার অথবা তিনবার পান করা উচিত।