দিনের প্রথম খাবার শুরু হয় সকালের নাশতা দিয়ে। এ কারণে জন্য খাবার নির্বাচনের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদেরা। তাদের মতে, সকালের খাবার নিয়ে সচেতন না হলে শরীরে শক্তির ঘাটতির আশঙ্কা থাকে। তখন কাজ করতেও অনীহা লাগে।
অনেকেই সকালের নাশতায় ভাত বা রুটি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হল,সকালে ভাত-রুটি খাওয়া কি উপকারী? এ ব্যাপারে ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে ভারতীয় পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার জানিয়েছেন বেশ কিছু তথ্য।
পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী জানান, ভাত-রুটি হল মূল কার্বোহাইড্রেটের উৎস। আর কার্বোহাইড্রেট হল শক্তির উৎস। অর্থাৎ এইসব খাবার থেকে প্রাপ্ত কার্বকে পুড়িয়েই শরীর নিজের প্রয়োজনীয় শক্তি অজর্ন করে। এ কারণে শরীরে শক্তির ঘাটতি মেটাতে চাইলে ভাত-রুটি খেতে পারেন। এই দুই খাবারে কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন, খনিজও রয়েছে। এ কারণে সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিতায় ভাত-রুটি রাখতেই হবে।
সকালের নাশতায় ভাত-রুটি
যারা সকাল সকাল অফিস যান, তারা অনায়াসে ভাত বা রুটি খেয়ে বের হতেই পারেন। এতেই দেহে শক্তির ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকী শরীরে প্রাণও আসবে। তবে সকালের নাশতায় ভাত-রুটি খাওয়ার সময় কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ। যেমন-
ফুল মিল খেলেই উপকার মিলবে: সকালের নাশতায় ভাত, রুটির সঙ্গে এক বাটি সবজি রাখবেন। সেই সঙ্গে মাছ, ডিম, মাংসের মধ্যে যে কোনও একটি প্রোটিন যুক্ত খাবারের পদ রাখা জরুরি। তাহলেই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। পাশাপাশি নাশতা সেরে উঠে খেয়ে নিন এক বাটি দই। কারণ দইতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ব্যাকটেরিয়া গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো একাধিক রোগের ফাঁদ এড়াতে পারে।
তিনবেলা ভাত নয় : অনেকেই সকাল, বিকেল, রাত্রি- দিনের তিনবেলাই ভাত খান। এতে একাধিক জটিল অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। কারণ ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তাই নিয়মিত ভাত খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে সময় লাগবে না।
রাতে হালকা খাবার খান: সুস্থ থাকতে সকালে ও দুপুরে ভারী খাবার খান। কিন্তু রাতেরবেলায় ভাত-রুটির সঙ্গে ভারী পদ খাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। রাতের বেলায় হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে মাছ, মাংস এড়িয়ে চলুন।