ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যায় থেকে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্যানেল।
ভারতের ১০টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে চলতি বছরের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পাঁচটি বিশেষ অডিট টিম বা প্যানেল গঠন করে। এর মধ্যে একটি প্যানেল বেনারস ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তদন্ত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্যানেল তাদের লিখিত প্রতিবেদনে বলেছে, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে এ ধরনের দুটি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাঞ্ছনীয় নয়।
কমিটি ‘হিন্দু’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কমিটি বলেছে, শুধু ‘বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়’—এই নাম রাখা যেতে পারে।
পাশাপাশি কমিটি এ কথাও বলেছে, প্রয়োজনে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম দেওয়া যেতে পারে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খান। আর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন মালব্য।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ সালে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্যানেলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় দুটির নাম বদলের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই।
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা নাম বদলের কোনো চিন্তা করছি না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি।’