রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্রের বিকাশ ও রাজনৈতিক সহনশীলতা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমাপ্তি ঘটে, শুরু হয় অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধ। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেই যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেই যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে দেয়নি। যুদ্ধ থেমে নেই, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চলছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। মঙ্গলবার বিকালে কটিয়াদী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ৬ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে দারিদ্র্যের হার। মানুষের গড় আয়ুও বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সাথে কর্মসংস্থান, মজুরি, খাদ্যশস্য উত্পাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানিসহ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহত্ প্রকল্প আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী ‘রোড মডেল’।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উত্সব পালন করবো। ইতোমধ্যে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাত্ এ সময় দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে রূপকল্প বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানো। উন্নয়নকে সার্বজনীন রূপ দেওয়া। এর সুফল যাতে ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরিব নির্বিশেষে সবাই ভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করা। এর আগে তিনি কটিয়াদী কলেজ গেটে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজুয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি, সাবেক সচিব শফিক আলম মেহেদী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন, পৌর মেয়র শওকত উসমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যালয়ের ছাত্র তানজিম আলম।