শুরুটা দারুণ করলেও পরে গিয়ে হোঁচট খেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরল এফসি কোপেনহেগেন।
বিরতির পর আবারও এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। কিন্তু কোপেনহেগেন শেষদিকে গিয়ে দুই গোল করে জয় তুলে নেয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছে কোপেনহেগেন। এই জয়ে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো ক্লাবটি; ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখল নকআউট পর্বের আশা। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে গালাতাসারাই। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে ইউনাইটেড। সবার আগে নকআউট পর্বে ওঠা বায়ার্ন ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চূড়ায়।
প্রতিপক্ষের ম্যাচে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ম্যাকটমিনের ক্রস থেকে গোলটি করেন হয়লুন। ২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। ব্রুনো ফের্নান্দেসের মাঝমাঠ থেকে দেওয়া বল টেনে নিয়ে শট নেন গারনাচো। প্রথমে গোলরক্ষক সেটি ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন হয়লুন।
৪২তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন র্যাশফোর্ড। ১০ জনের দলে পরিনত হওয়া ইউনাইটেডের জালে কিছুক্ষণ পরেই বল পাঠায় কোপেনহেগেন। ৪৫তম মিনিটে বক্স থেকে গোলটি করেন মোহামেদ এলিয়োনোসি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিচু স্পট কিকে সমতায় ফেরান গনসালভেস। বক্সে ম্যাগুইয়ারের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় তারা।
বিরতির পর আবার এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। বক্সে ম্যাগুইয়ারের হেডে লুকাস লেরাগেরের হাতে লাগলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ফের্নান্দেসের সফল স্পট কিকে ফের এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ৮৩তম ফের সমতায় ফেরে কোপেনহেগেন; লুকাসের গোলে। চার মিনিট পর ইউনাইটেডকে হতাশায় ডোবায় ক্লাবটি। বক্সে ফাঁকায় থাকা সাইড ভলিতে জয়সূচক গোলটি করেন রুনি বার্দগি।