দেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় ১৭ মার্চ। বিশ্বে শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করতে ২০ নভেম্বর (সোমবার) পালন করা হয় ‘বিশ্ব শিশু দিবস’। আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা যেন তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত না হয়। কোনোভাবেই যেন স্কুল ছুট হয়ে না যায়। আর এসব কিছুই মনে করিয়ে দেয় ‘বিশ্ব শিশু দিবস’।
সারা বিশ্বে ৭৩.৫ কোটি শিশু ভুগছে যথাযথ পুষ্টির অভাবে। শুধু যে প্রতিদিন দুবেলা খাবার জুটছে না, তা নয়। অপুষ্টি আদতে ডেকে আনছে নানারকমের রোগ। যে রোগের কারণে বাড়ছে শিশুমৃত্যুর হার। এই বাস্তব ছবির কথাই তুলে ধরে বিশ্ব শিশু দিবস।
প্রতি বছরের মতোই একটি বিশেষ ভাবনাকে কেন্দ্র করে পালন করা হবে বিশ্ব শিশু দিবস। চলতি বছরে দিনটির পিছনে রয়েছে ‘ফর এভরি চাইল্ড, এভরি রাইট’। অর্থাৎ, প্রত্যেক শিশুর জন্য প্রত্যেকটি অধিকার। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতেই এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ২০২৩ সালে।
১৯২৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেনশনে প্রথম দিনটির প্রস্তাব দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় শিশুদের অধিকারের জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৫৯ সালে শিশুদের অধিকার বিবৃত ও স্বীকৃত হয়। অন্যদিকে, ১৯৮৯ সালে শিশুদের অধিকার নিয়ে একটি কনভেনশন আয়োজিত হয়। এই দুটি ঘটনাই ইতিহাসে নজির হয়ে রয়েছে। সেই ঘটনা দুটিকেই স্মরণ করেই পালন করা হয় বিশ্ব শিশু দিবস।