২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার হারের পর অনেকেই শেষ দেখে ফেলেছিলেন লিওনেল মেসির। এরপর ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার হারে রীতিমত মুণ্ডুপাত করা হয়েছিল মেসিকে। বিশ্বকাপ জয়ের সব আশার শেষ দেখে ফেলেন স্বয়ং মেসি সমর্থকরাও। কিন্তু তিনি যে মেসি! তাই সব সমীকরণ ভুল প্রমাণ করলেন এবং দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই জেতালেন বিশ্বকাপ। নিজে হলেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়। পরে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো হলেন বর্ষসেরা ফুটবরারও।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে মেসিকে ঘিরে আবারও একই প্রশ্ন। সামনের বিশ্বকাপে কী দেখা যাবে সময়ের সেরা ফুটবলারকে?
ডিসনি স্টার প্লাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এর উত্তর দিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দেননি। আবার বাস্তবতাও রাখতে বলেছেন মাথায়। আপাতত তার সব চিন্তা ২০২৪ কোপা আমেরিকা ঘিরে।
‘বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। আবার শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েও বলছি না যে আমি খেলতে পারব না। যেকোন কিছুই ঘটতে পারে। এই অনিশ্চয়তা বয়সের কারণে। এই দিনকা বিবেচনা করলে সেখানে (বিশ্বকাপে) আমার না থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে দেখা যাক কি হয়।
‘মনে হচ্ছে, আমরা এবারের কোপা আমেরিকায় ভালো করব। সাফল্যের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বাস্তবতা অনেক কঠিন। এখন আমি কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবছি, এরপর ভাববো, বিশ্বকাপে খেলব কি না।
বাস্তবতা মনে করিয়ে ৩৬ বছর বয়সী তারকা আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় বয়সের এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছব যা আমাকে বিশ্বকাপে খেলতে অনুমতি দিবে না। আমি বলেছি, বিশ্বকাপে খেলব এমনটা ভাবছি না। যতদিন আমি মনে করব, আমি ভাল আছি এবং অবদান রাখতে পারছি ততদিন খেলে যাব। এখন আমার ভাবনা কেবল কোপা আমেরিকা নিয়ে। এর পরে, সময়ই বলে দেবে আমি সেখানে (বিশ্বকাপে) আছি, নাকি নেই।
পিএসজি অধ্যায়ের পর সউদি আরবের ক্লাবের বিপুল অঙ্কের অর্থের প্রাস্তাব ফিরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে যোগ দেন মেসি। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বলেন, ২০২৪ কোপা আমেরিকা ও ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার কথা মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছেন ফুটবল জাদুকর।
আসছে জুনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। আর ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। সেখানে খেললে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি বিশ্বকাপে খেলার ইতিহাস গড়বেন মেসি।