স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মতোই ত্যাগী মানুষের প্রয়োজন। তারা রক্তদানের মাধ্যমে কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই নিজ অস্তিত্বের একটি অংশ দান করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান। এসময় তিনি স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন। কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার রক্ত দিয়েছেন এমন তিন শতাধিক রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করে কোয়ান্টাম।
মো. খলিলুর রহমান বলেন, মুমূর্ষু কিংবা ঝলসে যাওয়া রোগীদের জন্য স্বেচ্ছা রক্তদানের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে ৫১ বার রক্তদানকারী সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সাবিকুন নাহার আশপিয়া অনুভূতি প্রকাশ করেন।
স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের ‘সামাজিক বীর’ উল্লেখ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে নতুন স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার মানবিক আহ্বান জানান আলোচকরা। প্রসঙ্গত, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই নিয়মিত এমন সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে কোয়ান্টাম। সাড়ে চার লক্ষাধিক ডোনার পুল নিয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ১৫ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান। গড়ে প্রতি বছর সেবার এ সংখ্যা এক লাখেরও বেশি ইউনিট।