ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রাম থেকে গৃহবধূ সুমি আক্তার জান্নাতের (১৯) লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুমি আক্তার একই গ্রামের সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের কন্যা এবং ইতালি প্রবাসী শাকিল মাতুব্বরের স্ত্রী।
এ বিষয়ে সুমি আক্তারের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে একই গ্রামের লোকমান মাতব্বরের ছেলে ইতালি প্রবাসী শাকিল মাতুব্বরের সাথে সুমি আক্তারে বিবাহ দেই। বিবাহর পর থেকে শাকিল বিদেশে যাওয়ার জন্য ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি পেনসনের ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে জামাই শাকিলের হাতে দেই। শাকিল চার মাস আগে ইতালি যায়।
ইতালি যেতে তার মোট ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়। পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে আমার কাছে। এই নিয়ে আমার মেয়েকে তারা প্রায়ই মারধর করে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে শাকিলের মা, তার দুই ভাই রাশেদ ও হান্নান আমার মেয়েকে মানসিকভাবে নির্যাতন ও মারধর করে আমার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এর পর সুমি আমার বাড়ি এসে তার স্বামী শাকিলের সাথে মোবাইলে ঝগড়া করে। তার পর রাত আনুমানিক ৩টার সময় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি প্রদ্যুৎ সরকার জানান, নিহত সুমির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। লাশ ময়দাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।