• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ন

হুথিদের ‘লাগাম’ টানতে চীনের সাহায্য চাইছে যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লাগাম টানতে এবার চীনের কাছে সাহায্য চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধ করতে ইরান যেন ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বোঝায় সেজন্য তেহরানকে বোঝাতে বার বার চীনের কাছে সহায়তা চেয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এ বিষয়ে বেইজিংয়ের কাছ সহায়তা পাওয়ার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল লিয়াইসন ডিপার্টমেন্ট অব চায়নাস কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা।

গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে লোহিত সাগরের রুটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানায় চীন। বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের ১৩ শতাংশই লোহিত সাগরকে কেন্দ্র করে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে নির্বিচারে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ৫শ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে ইসরায়েল এবং হামাসের সংঘাতে হামাসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হুথিরা বলছে, লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজে হামলার ঘটনা মানবিক এবং এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তবে লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ইয়েমেনে এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।

গাজায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে যে ভয়াবহ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তা কোনো কিছু দিয়েই বৈধতা দেওয়া যাবে না।

দক্ষিণ খান ইউনিসের চার বর্গ কিলোমিটার (১.৪ বর্গমাইল) এলাকা থেকে প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দা এবং ৪ লাখ ২৫ হাজার বাস্তুহারা লোকজনকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এই বিপুল পরিমাণ বেসামরিক নাগরিক গাজার অন্য সব শহর থেকে খান ইউনিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়। বিশেষ করে খান ইউনিসে এখন হামলা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের তিনটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ওই হামলা চালানো হয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপ কাতায়েব হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও কয়েকটি গ্রুপের ব্যবহৃত কয়েকটি স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর হামলার জবাবে সরাসরি এসব হামলা চালানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ