কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক তরুণীকে (১৮) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার বীর পাকুন্দিয়া এলাকার মো. আলী আকবরের ছেলে মো. কাউসার আহম্মেদ (২৪), একই এলাকার মো. খসরু মিয়ার ছেলে জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮) ও চর পাকুন্দিয়া এলাকার মুক্তার উদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন রাজু (২৪)।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে উপজেলার তারাকান্দি বাজারে ঘুরতে যান দুই বন্ধুসহ ওই তরুণী। সেখানে যাওয়ার পর অটোরিকশা আটকিয়ে কয়েকজন যুবক তাদের তারাকান্দি ফাজিল মাদরাসার মাঠে নিয়ে যান। পরে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এসময় ভয় দেখিয়ে মাদরাসার মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে গিয়ে হৃদয় (৩২), মেহেদী হাসান (২২), বাবু (২২), মো. কাউসার আহম্মেদ (২৪) ও জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮) মিলে পর্যায়ক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
পরে অটোরিকশা আটক করে টাকা দাবি করার সংবাদ পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ, এসআই নাজিম উদ্দিন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রাকিব উজ্জামান খান তারাকান্দি এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন অটোরিকশায় আসা এক তরুণী পরিত্যক্ত টিনের ঘরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘর থেকে পালানোর সময় মো. কাউসার আহম্মেদ ও জুবায়েদ হাসান শুভকে আটক করা হয়। ভিকটিম (তরুণী) উদ্ধারসহ সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের অভিযানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।