পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৭৮ কোটি ৭০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। তোশাখানা মামলায় আজ বুধবার এ রায় দেয়া হয়।
রায়ে একইসাথে ইমরান খানকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত।বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের বিশেষ আদালতে সাইফার মামলায় (রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস) ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার ঠিক এক দিন পরেই এই রায় ঘোষণা করা হলো।
ওই মামলায় তার সাথে দলের সিনিয়র নেতা এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও একই মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে কূটনৈতিক ক্যাবলের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, তোশাখানা বিতর্ক শুরু হয় ২০২১ সালে, যখন জানা যায়- ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশী বিশিষ্টজনদের দেয়া বিভিন্ন উপহার কিনে পরে সেগুলো বেশি দামে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তখন ক্ষমতায় ছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের পাওয়া উপহারের বিস্তারিত জানাতে ক্ষমতাসীন দলটি প্রথমে অনীহা প্রকাশ করেছিল; এতে পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে দাবি করেছিল তারা। ১৯৭০ -এর দশকে পাকিস্তানের সরকারি একটি বিভাগ হিসেবে তোশাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ বিভাগটি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান ও অন্যান্য বিশিষ্টজনদের দেয়া উপহার জমা রাখে।