ফেনীর পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মা আয়েশা আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লামিয়ার সৎমা রেহানা বেগমকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, হত্যাকারী দুই যুবককে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে লামিয়াকে তার মায়ের পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হবে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
ওসি আরও জানান, নিহত লামিয়ার বড় বোন নিহার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তার জবানবন্দি অনুযায়ী, হত্যাকারীদের দেখলে সে চিনতে পারবে।
নিহা জানায়, দুজনই মাথায় হেলমেট পরা থাকলেও বাসায় ঢুকে হেলমেট খুলে ফেলেন। তাদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো ও সামান্য মোটা। আগেও তাদের দুজনকে পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। দুজনের সঙ্গেই তার মায়ের পরিচয় ছিল।
এদিকে ঘটনার দিন রাতে নিহত শিশু লামিয়ার বাবা নুরুন্নবী বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় মামলা করেন।
নুরুন্নবী বলেন, তার বর্তমান স্ত্রী রেহানা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার জিম্মায় বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে তার স্ত্রী তার সঙ্গে বাসায় আছেন। তবে আগের স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল বলে জানান তিনি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে লামিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।