রাজধানীতে চলাচল করা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি বাংলাদেশের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সম্মেলন কক্ষে ঈদযাত্রা নিয়ে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে যখন আমাদের লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি দেখেন, তখন আমাদের খুব লজ্জা হয়। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এদিকে পরিবহন মালিকদের নজর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনেক উন্নয়ন হলেও লক্করঝক্কর বাস চলাচল বন্ধ হয়নি। এজন্য ১২ বছর মন্ত্রী পদে থেকে কথা শুনতে হয়।
বাস মালিকদের তিরস্কার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের কি লজ্জা করে না? দেশ এত এগিয়ে গেল, আর গাড়ি গরিব গরিব চেহারা। শুধু ঈদের আগে লোক দেখানোর জন্য গাড়ি রং করবেন না। বিষয়টি ভালোভাবে দেখতে হবে। গাড়িগুলো সাফসুতরো করে ফিটনেস নিয়ে বের করবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকার বাইরে থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঢাকায় ঢোকে। আমি তো বলব ঢাকার বাইরে থেকে সিটিতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি কম আসে। বরং সিটিতেই অনেক লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির কারখানা আছে। সেগুলো আমি নিজের চোখে দেখেছি। ঈদের আগে সেগুলোতে রং লাগাতেও দেখেছি, যে রং আবার ১০ দিনও থাকে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি দীর্ঘ দিন এই সেক্টরে মন্ত্রী। প্রতিবছর এমন সভা হয়। তবে সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা ঠিকভাবে পালন হচ্ছে কি না তা আর পরে মূল্যায়ন করা হয় না। এটা মূল্যায়ন করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়তে হবে। অনেকটা এমন যে ঢাল নাই, তলোয়ার নাই-নিধিরাম সর্দার। সেই সঙ্গে বিআরটিএ-এরও সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ঢাকার যানজট প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফেনী থেকে হানিফ ফ্লাইওভারে আসতে যত সময় লাগে, তার চেয়ে বেশি সময় লাগে ফ্লাইওভার থেকে ঢাকায় ঢুকতে। এখন মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে, দুই ঘণ্টা লাগে।’
সভায় ঈদের আগেই যাত্রাবাড়ীর যানজট, উত্তরবঙ্গের মহাসড়কের কাজ, গাজীপুরে বিভিন্ন মহাসড়ক, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের যানজট, এলেঙ্গার যানজট নিরসনের দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দেন কাদের।