• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

সাবেক এমপিকে উপজেলা আ’লীগ থেকে অব্যাহতি ॥ যুবলীগের কমিটি স্থগিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটঃ : রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক ও আওনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মারুফ হাসানের হত্যার প্রতিবাদে রবিবার সকালে তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা সড়কে মানববন্ধন ও দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। এদিকে একই ঘটনায় সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসানকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পৌর যুবলীগ ও পিংনা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে শনিবার রাতে দলের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সুত্র জানায়, মারুফ হাসান (৩৫) গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে আওনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোবারক হোসেন রাজার হাতে জখমের এক মাস পর রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহষ্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। এ হত্যাকান্ডে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুরাদ হাসানের সরাসরি নির্দেশনা ছিল- বলে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও নিহতের পরিবার। এ সময় আওয়ামী লীগে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ ও দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই জরুরী বৈঠকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এদিকে মারুফের হত্যাকারীর ফাঁসি ও ইন্ধনদাতার গ্রেপ্তার দাবিতে রবিবার অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাও. নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিন হোসাইন শিবলু, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা জানান, ‘সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হত্যার ঘটনা স্বাভাবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের আওয়ামী লীগ থেকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার কোন অধিকার রাখে না। মারুফ আমারই কর্মী ছিল; হাসপাতালে থাকাকালীন আমিই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সামনে নির্বাচন, তাই তার হত্যাকান্ডের সাথে আমাকে জড়িয়ে দলীয় প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করছে।’
এদিকে ওসি রেজাউল ইসলাম খান জানিয়েছে, ‘চলমান ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক এমপির পক্ষে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বাদি-বিবাদীর নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ