অনুমোদন ছাড়াই নতুন তিনটি ইটভাটা
প্রশাসন থেকে ১লা নভেম্বর থেকে কঠোর ব্যবস্থা
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইট ভাটা গুলোয় মাটি সংগ্রহে মালিকদের নানামুখী তৎপরতা শুরু হয়েছে। কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহে জমি মালিকদের বিভিন্ন টোপ দেয়া হচ্ছে। কৃষি জমির মাটির বেশি দাম হাকা হচ্ছে। আর মাসেক খানেক বাদেই ইট ভাটা গুলোর চালু পরিকল্পনা নিয়ে মালিকদের এসব তৎপরতা চলছে। এদিকে এবারে প্রশাসন থেকে ইট ভাটার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লাপাড়ায় মোট ২৯টি ইট ভাটা রয়েছে। জেলার মধ্যে ইট ভাটার সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এর উপর নতুন করে আরো কমপক্ষে চারটি ভাটা নির্মানের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। এগুলো হলো সলংগা ইউনিয়নের গোজা, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভট্টমাঝুরিয়া ও আমসারা, বড়হর ইউনিয়নের ব্রহ্মকপালিয়ায় নতুন ভাটা গুলো নির্মান হচ্ছে। এর তিনটির কোন অনুমোদন নেই বলে জানা যায়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে সলংগার গোজা মাঠের ইট ভাটাটি কৃষি অফিস থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি আবাদী জমি এলাকায় হলেও কৃষি অফিস সব জেনেই অনুমোদন দিয়েছে।এছাড়া রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র সিমলা মৌজার আমসরা এলাকায় নতুন নির্মিত ইট ভাটা মালিক মোঃ আব্দুস ছাত্তার জানান, সরকারের কোন বিভাগ থেকেই তিনি ইট ভাটা নির্মান অনুমতি নেননি। তিনি এখন অনুমতির জন্য আবেদন করবেন বলে জানান। অপরদিকে ব্রহ্মকপালিয়ায় নতুন ইট ভাটা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগে ইট পোড়ানোর শেষ ভাগে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে উল্লাপাড়ার ২২টি ইট ভাটা বন্ধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন অভিযোগে এ ভাটাগুলো বন্ধের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১১টি ভাটা একেবারে বন্ধের বিষয়ে জানানো হয়। তবে মৌসুম শেষকালে স্থানীয় প্রশাসন থেকে গত বছর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা যায়। জানা গেছে, আগামী ১লা নভেম্বর থেকে উল্লাপাড়ার অবৈধ ইট ভাটাগুলো বন্ধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নামা হবে। এদিকে ইট ভাটা চালুর সময়ে দিন যেতেই এগিয়ে আসছে। গত সপ্তাহ তিনেক হলো ভাটা মালিকেরা ইট তৈরিতে মাটি সংগ্রহে মাঠে নামতে শুরু করেছে। এরা মাটি কিনতে দালাল এবং সরবরাহকারীদের বিভিন্ন চুক্তি করছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে দু’একটি ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খিজির হোসেন প্রামানিক জানান, কৃষি জমিতে নতুন কোন ইট ভাটা নির্মানে তার অফিস থেকে আর কোন অনুমোদন দেয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সরকার জানান, অবৈধ ইট ভাটাগুলোর বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ১লা নভেম্বর হতে নামা হবে। এছাড়া কৃষি জমি থেকে কোন অবস্থাতেই ইট ভাটা নির্মান বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে নতুন ইট ভাটা নির্মান অনুমতি দেয়া হবে না। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানদের কে নতুন কোন ইট ভাটার বিষয়ে লিখিত কিংবা মৌখিক সুপারিশ না করার বিষয়ে জানানো হয়েছে।