• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে মানুষের সেবায় কাজ করেকরতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, কথা কম বলে অসুস্থ মানুষের সেবায় কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাদের। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তিনি ২৩ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন, বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবে সে জন্য। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দেশ স্বাধীন হয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে তাঁর স্বপ্নের মতো করে সাজানোর সুযোগ পাননি। তিনি মাত্র তিন বছরের মতো ক্ষমতায় ছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলেও দেশে তেমন কোনও সম্পদ বা অর্থ ছিল না। সেই দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশের দায়িত্ব নিয়েই তিনি এমন কোনও সেক্টর নেই যেখানে কাজ শুরু করেননি। স্বাস্থ্যখাতের সব ভালো উদ্যোগগুলো জাতির পিতাই শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি যেভাবে শুরু করেছিলেন দেশের বিভিন্ন কুচক্রী মহলের কারণে সেগুলো সেভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার কাজগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আমাদের দায়িত্ব জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা। সেই কাজ করতে মুখে বড় বড় কথা বললেই হবে না, আমাদের কাজ করে দেখাতে হবে। ঈদের পর থেকে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি আবারও মাঠে নেমে পড়বো। প্রয়োজনে প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে চলে যাবো। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তাই করবো।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের ত্যাগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কত দিন তিনি খেয়ে না খেয়ে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে কাজ করেছেন তার হিসাব নেই। বিশ্বের অনেক দেশই স্বাধীনতার জন্য যুগের পর যুগ লড়াই করে যাচ্ছে, কিন্তু স্বাধীন হতে পারছে না। বাংলাদেশ কীভাবে পারলো, ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করতে ঝাঁপিয়ে পড়লো! এগুলো তো আর এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সাহস ছিল, বুকের পাটা বড় ছিল। এ জন্যই বাংলাদেশ এতো আগে স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা নেই বলেই অনেক দেশ স্বাধীন হতে পারছে না।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউ এর ভিসি ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব)সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যক্তিরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ