সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ইরানি কমান্ডারকে হত্যার পর সম্ভাব্য প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় ইসরাইল তার বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং রিজারভিস্টদের তলব করেছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের পাশে অবস্থিত কনস্যুলার ভবনে হামলায় ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোরের সিরিয়াস্থ সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা জাহেদি, তার ডেপুটি এবং অন্য পাঁচ আইআরসিজি কর্মকর্তা নিহত হন। ইরান ও সিরিয়া এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর এক খবরে বলা হয়, প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহ বা অন্য কোনো গ্রুপকে না দিয়ে ইরান সরাসরি ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে।
ইসরাইলে ইরান সরাসরি হামলা চালানোর ব্যাপারে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সাবেক সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান অ্যামোস ইয়ালদিন চ্যানেলটিকে বলেন, ইসরাইলে যদি ইরান সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তবে বিষ্ময়ের কিছু থাকবে না। তিনি গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা উল্লেখ করেন।
হিব্রু ভাষার মিডিয়ার খবরে বলা হয়, হুমকি মূল্যায়নের পর বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, সৈন্যদের তলব করা হয়েছে।
সোমবারের ওই হামলার পর লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ বেশ কয়েক দফা ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ঘটনাবলীর সাথে পরিচিত একজন পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সর্বাত্মক যুদ্ধ না করেই কিভাবে জবাব দেয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছে ইরান। তারা এমন কিছু করতে চায়, যাতে করে জবাবও দেয়া যায়, আবার উত্তেজনাও না বাড়ে।
মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইলিয়ট আবরাসমও মনে করেন, ইসরাইলের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না ইরান। তবে তারা ইসরাইলি স্বার্থে আঘাত হানবে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল