ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলার ছয় মাস পূর্ণ হলো আজ। ইসরায়েলি হামলায় ছয় মাসে নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৭ জন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। ছয় মাস ধরে চলা হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ৭৬ হাজার ফিলিস্তিনি। খবর আল জাজিরা ও আনাদোলু।
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছেন।
ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দখলদার ইসরায়েল গাজা উপত্যকার পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে চারটি গণহত্যা চালিয়েছে, যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন শহীদ ও আরও ৬৫ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় আকাশপথে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।
ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
টানা ছয় মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে ইসরায়েলের চালানো হামলায় গাজায় তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়ছে খাদ্য সংকট। এর ফলে গাজার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ১০ লাখের বেশি মানুষ ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন’।
এদিকে গাজায় গণহত্যার বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি। ৪৭ সদস্যের সংস্থাটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮টি। বিপক্ষে ৬টি ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ১৩ দেশ।