মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে ভিডিও পোস্ট করার ব্যাখ্যা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকী।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।
জানা যায়, পাকিস্তান অ্যাফেয়ার্স নামে একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ১৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন।
ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক !’
ভিডিওতে আরও দাবি করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চাননি; তিনি স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ‘হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুকে কিছু প্রকাশ করার অর্থ সেটি দায়িত্ব নিয়েই প্রচার করা। এর আগেও বিভিন্ন সময় পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে অন্য দেশের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়েছে। এবার ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত বিষয়াদি নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনের নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা উদ্দেশ্যপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক’।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক তা আদালত দ্বারা স্বীকৃত। মুক্তিযোদ্ধা ডা. এমএ সালামের করা এক জনস্বার্থ রিট মামলায় ২০০৯ সালের ২১ জুন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক রায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে রায় দেন।
সেই সঙ্গে আদালত জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উপস্থাপন করে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, দলিলপত্র’-এর তৃতীয় খণ্ড বাতিল ঘোষণা করেন এবং সেই খণ্ডটি দেশ-বিদেশের সব স্থান থেকে বাজেয়াপ্ত ও প্রত্যাহার করারও নির্দেশ দেন।