ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর পর ইরানেও পাল্টা আক্রমণের শঙ্কা বাড়ছে। ইসরায়েলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আয়রন ডোমের মতো পরীক্ষিত অস্ত্র থাকলেও ইরান সেক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে আছে। তবে ইরানের দাবি, তারা ইসরায়েলে সব হামলা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলার জন্য ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আসলে কতোটা সক্ষম? আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ইরানি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চিত্র।
ইরান স্থানীয় প্রতিরক্ষা অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। গত কয়েক দশক ধরে ইরান নিজস্বভাবে তৈরি সমরাস্ত্রে ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছে। তারা সামরিক ক্ষেত্রেও স্থানীয়ভাবে আগানোর চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা দেশটির হাতে থাকা বিমানগুলোর মধ্যে এখন বেশিরভাগই রাশিয়ার তৈরি। তারা সুখোই ও মিগ ফাইটার জেট ব্যবহার করছে। এছাড়াও ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতেও যুদ্ধ বিমান তৈরি করেছে। তবে সেই বিমান নিয়ে মার্কিন এফ-৩৫ এর সাথে টক্কর দেয়া অসম্ভব। তবে রাশিয়ার তৈরি সু-৩৫ বিমান পেলে ইরানি আকাশ প্রতিরক্ষা আরো শক্তিশালী হবে।
দীর্ঘ পাল্লার মিসাইল ব্যাটারি। ইরান নিজেদের তৈরি যুদ্ধবিমানগুলোকে নিজস্ব প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে তারা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে চায়। ইরান স্থানীয়ভাবে বাভার-৩৭৩ নামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তৈরি করেছে। ২০১৯ সাল থেকে যেগুলো সক্রিয় আছে। এটি ৩৫০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার সক্ষমতা রাখে। এটি সায়্যেদ ৪বি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাজানো। এটি দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও স্টিলথ ফাইটার জেট রুখে দিতে সক্ষম। এক সাথে এটি ছয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারে।
ইরান কয়েক স্তর বিশিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরিতেও মনোযোগী। ইরানের বেশ বিস্তৃত পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে। আর এসব ক্ষেপণাস্ত্রও স্থানীয়ভাবে তৈরি। ইরানের রয়েছে আরমান, ট্যাকটিকাল সায়্যেদ, খোরদাদ-৫ এর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০২২ সালের নভেম্বরে আরমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্মুক্ত করা হয়। এটি সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরযোগ্য। কয়েক মিনিটেই এটি স্থাপন করা যায়।