ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে দেশটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সেদেশের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
তাদের বরাতে সংবাদটি প্রকাশ করেছে আল জাজিরাও।
এবিসি নিউজ বলছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তবে কী আকারের বা কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তা তৎক্ষণাৎ জানানো হয়নি।
আল জাজিরা বলছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্ফাহান শহরের একটি বিমানবন্দরের কাছে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ শোনা গেছে। তবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি।
ইরানের এয়ারপোর্টস অ্যান্ড এয়ার নেভিগেশন কোম্পানি জানিয়েছে, তেহরান, ইস্ফাহান, শিরাজ বিমানবন্দরসহ কিছু এলাকায় ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল করা হয়েছে।
ইরানের স্পেস এজেন্সির একজন মুখপাত্র আল জাজিরা অ্যারাবিককে জানিয়েছেন, ‘কিছু ছোট ড্রোন’ ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু বলেননি তিনি।
এদিকে, ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের সামরিক বাহিনী। এটি ইরান ও তাদের মিত্রদের ‘সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার’ পূর্ব প্রস্তুতি বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা হয়। ওই হামলায় বেশ কজন ইরানি কমান্ডারসহ ১৩ জনের প্রাণ যায়। তেহরানের অভিযোগ, ইসরায়েল ওই হামলা চালিয়েছে। তেলআবিব হামলার দায় স্বীকার না করলেও নাকচও করেনি।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কনস্যুলেটে ওই হামলার জবাব দেওয়ার কথা বলে ইরান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা। পাশাপাশি ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে থাকা তাদের মিত্ররাও ওই হামলায় অংশ নেয়। তবে মিত্রদের সহযোগিতায় প্রায় সব ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল।
এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে পশ্চিমা দেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুপক্ষকেই সংযত আচরণের পরামর্শ দেয়। তবে ইসরায়েল বারবার সেই হামলার ‘পাল্টা জবাব’ দেওয়ার কথা বলে আসছিল।
তাদের হুঁশিয়ার করে ইরানও বারবার বলে আসছে, ইসরায়েল এ ধরনের পাল্টা আঘাত করলে তাদের ‘কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে।