চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এই দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক ছাত্র। তিন ছাত্রই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন চুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার ২২ এপ্রিল বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদী সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে শান্ত সাহা এবং নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তৌফিক। শান্ত সাহা চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের এবং তৌফিক ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পা ভেঙে গেছে।
চুয়েটের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) ফজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাইকে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বাইকটি ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির বাস। বর্তমানে শান্ত সাহার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। এছাড়া তৌফিকের মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালে।’
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহতের খবর চুয়েট ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। চুয়েট গেটের মূল ফটকের সামনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান করছেন। ফলে এ সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে চুয়েট ক্যাম্পাসের দিকে ফিরছিলেন তিন শিক্ষার্থী। কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তারা। পরে তাদেরকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শান্ত ও তৌফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, কাপ্তাই সড়কের পোমরা ইউনিয়নের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই ছাত্র নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক ছাত্র। তিন ছাত্র মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। তারা রাঙ্গুনিয়া থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি বাস রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাসটির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী আহত হন। পরে দুই ছাত্র মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তবে বাস চালক ও হেলপার পালিয়েছে।