যে দল জিতবে তারাই মৌসুমের প্রথম ট্রফি জিতবে। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথমবারের মতো হওয়া চ্যালেঞ্জ কাপে ৩-১ ব্যবধানে মোহামেডানকে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচের টুর্নামেন্ট হয়েছে। টুর্নামেন্টের নামটি এসেছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন থেকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের উদ্দেশ্যেই চ্যালেঞ্জ কাপের নাম ‘বাংলাদেশ ২.০’ রাখা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকেও সাজানো হয়েছিল আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধদের গ্রাফিতিতে। সঙ্গে আন্দোলনের স্লোগানগুলোও জায়গা পেয়েছে ওপরের গ্যালারির ওয়ালে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কিংস অ্যারেনায় অবশ্য শুরুটা মোহামেডানই করেছিল। ৭ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে গিয়ে। ইমানুয়েল সানডের দারুণ ক্রসটিতে শুধু মাথাটাই লাগিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে। তবে বিরতির পর দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়ায় বসুন্ধরা।
সমতায় ফিরতে ৫৮ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে যে শটটি তিনি নিলেন তা ডান পোস্টের বাইরে মারেন। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্যালারি থেকে ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারেন দর্শকেরা।
গোলাপি রংয়ের ঝাঁজের কারণে কিছুটা সময় ম্যাচ বন্ধ থাকে। ইউরোপীয় ফুটবলে এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায় না। বিরতির এই সময়টায় যেন কোচ ভ্যালেরি তিতার সঙ্গে নিজেদের কৌশলটা আরেকটু ভালোভাবে সেরে নেয় বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা।
যার ফলও পায় ৭৩ মিনিটে। মিগেল দামাশেনোর কর্নার থেকে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান তপু বর্মণ। সমতায় ফেরার পর উজ্জীবিত বসুন্ধরা এগিয়েও যায় ৮১ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক দামাশেনোর বাড়ানো ক্রসে অনেকটা উড়ে এসে ডান পায়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ফাহিম।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে মোহামেডানের ফেরার পথ রুদ্ধ করে দেন দামাশেনো। সপ্তম মিনিটে দারুণ এক গোল করেন ম্যাচে দুই অ্যাসিস্ট করা ব্রাজিলিয়ান প্লে মেকার। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর যোগ করা ১৮ মিনিটেও আর কোনো গোল শোধ দিতে পারেনি মোহামেডান।