লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রায়পুর থানায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত রাকিবসহ তার মা ও বোনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল এবং পরে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, কিশোরীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তার অসহায় মা মানুষের বাসায় গৃহকর্মী এবং বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। কিশোরী শহরের টিসি সড়কের স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে চরআবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে রঙমিস্ত্রি রাকিব হোসেন (২৫) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।
রোববার শহরের ভাড়া বাসা থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিল। পথে শহরের শহিদ মিনার এলাকা থেকে রাকিবসহ অজ্ঞাত আরও দুজন কিশোরীর মুখে কাপড় চেপে ধরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে হায়দরগন্জ বাজার হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে আটক করে ওই দিন কিশোরীকে রাবিক কয়েকবার ধর্ষণ করেছে।
ওই রাতে রাকিব কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু রাকিবের মা ও বাবা তাদের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রাকিব তাদের বাড়িতে কিশোরীকে রেখেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে সময় কালক্ষেপণ করায় বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করা হয়।
কিশোরীর মা জানান, আমার অবুঝ কিশোরী মেয়ের সর্বনাশ করেছে বখাটে রাকিব। আমি সমাজের মানুষের কাছে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করেছি। আমি উপযুক্ত বিচার চাই।।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাকিব পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তার বাবা মিছির আলী ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করেন।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, বুধবার রাতে ধর্ষণ আইনে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।