সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ ইসরায়েলবিরোধী কিছু পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে। ইসরাইলবিরোধী কথা বলায় ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের। তবে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা স্পষ্ট জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।
ইসরাইলবিরোধী মনোভাব প্রকাশের দায়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন একটি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা। কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন। আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরাইলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে— সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যদিও সৌদি সরকার বারবার বলে আসছে— স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা দেখে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে অবস্থান বদলাচ্ছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান।