ইসরাইল নিয়ে ঢেঁকি গেলার মতো অবস্থায় পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে পথে নামছেন আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। শাস্তির মুখে পড়েও পিছু হটছেন না তারা। ওই সমস্ত শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যবস্থা তারা করে দেবে বলে বার্তা দিয়েছে হুথি। শিক্ষার্থী-বিক্ষোভ এবং ভিন্ দেশের যুদ্ধে প্রচুর খরচের প্রশ্নে ভোটের আগে সব মিলিয়ে বেশ বিপাকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যে ফিলিস্তিনপন্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘বাইডেনের ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরাইল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর হওয়ার পরেই সরাসরি হামাসের পাশে দাঁড়ায় পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন। তার মধ্যে হুথিরা অন্যতম। তারা লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নৌপথে হামলা শুরু করে। গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকার নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে দু’হাজারের বেশি গ্রেফতারি হয়েছে। শাস্তির মুখে পড়েছেন যে সব শিক্ষার্থী, তাদের জন্য ইয়েমেনের দরজা খোলা রয়েছে, বার্তা দিয়েছে হুথিরা।
হুথি পরিচালিত সানা ইউনিভার্সিটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন যারা, তাদের আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের পাশে এই লড়াইয়ে যত রকম ভাবে থাকা সম্ভব, আমরা রয়েছি।’ নির্দিষ্ট ইমেল-ঠিকানা দিয়ে সানা ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ভারমন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনের তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সঙ্গে, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে শিক্ষার্থী-বিক্ষোভের জেরে ১৯৬৮ সালে পুনর্নিবাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ বার ইসরাইল নিয়ে তার অবস্থানের জন্য যুব সম্প্রদায় ও ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশের সমর্থন খুইয়ে বাইডেন হেরে যেতে পারেন আগামী নভেম্বর মাসের নির্বাচনে, বলছেন স্যান্ডার্স।