• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

রাফাহতে হামলা করতে চায় ইসরায়েল, বিরোধিতায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফাহ শহর। তবে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা এই শহরে বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

এমন অবস্থায় রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা ‘আসন্ন’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহতে পরিকল্পিত স্থল হামলা ‘আসন্ন’ বলে রোববার জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরে ইসরায়েলি সেনা সদস্যদের তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা উদ্বেগজনক যেসব লক্ষণ লক্ষ্য করছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে- হামাস আমাদের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় না। এর মানে, রাফাহতে সেনা অভিযান আসন্ন।

আনাদোলু বলছে, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘হামাসের বাকি ব্যাটালিয়নগুলোকে’ পরাজিত করতে রাফাহ আক্রমণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। টানা সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

মূলত রাফাহ হলো গাজা উপত্যকার শেষ অবশিষ্ট এলাকা যেখানে ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে তার সেনাদের প্রবেশের ঘোষণা দেয়নি।

গ্যালান্ট বলেছেন, ‘এই যুদ্ধের জন্য আমাদের স্পষ্ট লক্ষ্য রয়েছে: আমরা হামাসকে নির্মূল এবং গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা (চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য) একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছি…।’

এদিকে রোববার হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন।

হানিয়াহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাস এখনও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী যা আগ্রাসনের অবসান ঘটাবে, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দেবে এবং বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি নিশ্চিত করবে।’

হামাসের কাছে বর্তমানে ১৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি বন্দি আটক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত শনিবার এবং রোববার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সাথে বন্দি বিনিময়ের জন্য মিসরে আলোচনা করেছে তারা।

মিসরের রাষ্ট্র-চালিত আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেল উচ্চ-পর্যায়ের মিসরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হয়েছে।

তবে তেল আবিবের সাথে বন্দি চুক্তির বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে হামাস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ