দিনাজপুরে রং নম্বরে ফোন আসাকে কেন্দ্র করে এক তরুণীর সাথে মিথ্যা পরিচয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে মাগুরার তরুণ রাশেদুল। দিনমজুর হয়েও রাশেদুল পরিচয় দেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
রাশেদুল মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাভারে। পরে তরুণী নিখোঁজের পর তার বাবার দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর থেকে তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আটককৃত রাশেদুল ইসলাম মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চাকদহ এলাকার শাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম (ক্রাইম এন্ড অপস) জানান, মোবাইল ফোনে ভুল করে ডায়ালের মাধ্যমে রাশেদুল ইসলামের সাথে এক তরুণীর পরিচয় হয়।
সে বিভিন্ন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। সেই ফাঁদে পড়ে ওই তরুণী ৩ মে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে দিনাজপুরের কাহারোলের নিজ বাড়ি থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়ে আসে। এরই মধ্যে অপহরণকারী পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। ওই তরুণীকে প্রলোভন দেখিয়ে পরীক্ষার সেন্টার থেকে বাসযোগে প্রথমে সাভার, ঢাকা, মাগুরা, ঝিনাইদহ পরবর্তীতে ফরিদপুর সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। তরুণী নিখোঁজের পর ওই তরুনীর বাবা কাহারোল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযানে নামে দিনাজপুরের সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেলের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ দাস, উপপরিদর্শক আল মামুন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মমিনুর রহমান। অভিযানে শুক্রবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর থেকে অপহরণকারী রাশেদুলকে গ্রেফতার এবং উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। অভিযানের শুরুতে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীর মোবাইল নম্বর বের করা হয়। এরপর তাদের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করা হয় বলে জানান তিনি। তবে অপহরণকারী বার বার সিম ও ফোন পরিবর্তন করায় তাকে ধরতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়।