পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ। সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ।
ইমরান খান ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করতে দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর দায়িত্ব দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিটিআই প্রধান আরিফ আলভির উপর। সেই ভিত্তিতেই ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত নওয়াজ শরিফ।
রবিবার (১২ মে) পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে। আর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার একমাত্র উপায় নিঃশর্ত আলোচনা। সেটাই একমাত্র সমস্যার সমাধান। পিটিআই নিঃসন্দেহে একটি বড় রাজনৈতিক দল। এদিন রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সংলাপের জোর দেন রানা সানাউল্লাহ।
কিন্তু সংলাপের শর্ত যদি দেওয়া হয়, আদিয়াল কারাগারে বন্দী ইমরান খানের মুক্তির চুক্তি, তাহলে তা একেবারেই হবে না। অর্থাৎ ইমরান খানকে কোনভাবেই মুক্তি দেওয়া যাবেনা। ইমারন খান ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করছেন। আর এই কারণেই রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পিটিআই নেতারা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আরিফ আলভিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরিফ আলভি বলেছেন, আলোচনা হবে। বর্তমান শাসক জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলর প্রকৃতপক্ষে কোনো ক্ষমতা নেই। তবে সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি পিটিআই। এছাড়াও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে অন্য কারও সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানে কে বেশি ক্ষমতাধর, তা সবাই জানেন। রাজনৈতিক দল নির্বাচনী জালিয়াতিতে জড়িত ছিল। সরকারে তাদের কিছু করারও নেই। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোট চুরির সুবিধাভোগী হচ্ছে পিএমএল–এন, পিপিপি ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট।